কামাল হোসেন
ঢাকার পরে সবচেয়ে বড় বিকেএসপি (বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) ময়মনসিংহে হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিনি বলেন, এখান থেকে ছেলে আর মেয়েরাই যে শুধু খেলাধুলাতে পারদর্শী হবে তাই না, যেসব সংগঠন বা কোচ আছেন তাদের জন্য এখানে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি করারও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যাতে করে এখান থেকে ট্রেনিং নিয়ে তারা খেলোয়ারদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে পারে।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের শ্যূটিং কমপ্লেক্স ভবনে জেলায় নবনির্মিত শ্যূটিং রেঞ্জের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহযোগিতায় যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও রাইফেল ক্লাব।
ময়মনসিংহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আলাদা নজর রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ জেলাকে অত্যন্ত ভালবাসেন। যে কোনো বিষয় কিংবা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আসলেই ময়মনসিংহকে তিনি কখনো ভুলেন না। কারণ ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ দলের সকল দুঃসময়ে নেত্রীর পাশে ছিল। এ এলাকা থেকে মানুষ আওয়ামী লীগকে বারবার নির্বাচিত করেছে। এ কারণে বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমত্ববোধ ও ভালোবাসা আমরা লক্ষ্য করেছি।
তিনি আরও বলেন, বিকেএসপি যাতে ময়মনসিংহে হতে পারে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য করোনার মধ্যেও আমরা ছুটে এসেছি স্থান নির্ধারণের জন্য। কারণ ময়মনসিংহ থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে বাংলাদেশের প্রতিটি খেলাকেই আলোকিত করেছে, ক্রীড়াঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ কারণে এখানে একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠান আমরা তৈরি করে দিতে চাই। যাতে এখানকার রত্নগুলোকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. মাসুদ করিম, বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রাসেদুল হাসান, জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পাঠান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান।
এরআগে, দুপুরে ময়মনসিংহ বিকেএসপির জন্য নগরীর খাগডহর, দাপুনিয়া ও তারাকান্দা উপজেলায় মোট ৩টি স্থান পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।